ফুসফুসের ক্যান্সার

ব্রংকাস বা ফুসফুসের অন্যান্য অংশে ফুসফুসের ক্যান্সার হয়ে থাকে। পরবর্তীতে, ইহা লিম্ফনোড, ব্রেইন বা শরীরের অন্যান্য অংশে ছড়িয়ে পড়তে পারে এবং শরীরের অন্যান্য অংশ থেকেও ফুসফুসে ক্যান্সার ছড়িয়ে পড়তে পারে। ফুসফুসের ক্যান্সার প্রধাণত দুই ধরনের হয়ে থাকে – ক্ষুদ্র কোষস্থ ফুসফুসের ক্যান্সার ও ক্ষুদ্র নয় এমন কোষস্থ ফুসফুসের ক্যান্সার। ক্ষুদ্র কোষস্থ ফুসফুসের ক্যান্সার দুই প্রকারের হয়ে থাকে – ক্ষুদ্র কোষস্থ কারসিনোমা (ওট কোষের ক্যান্সার) ও সমন্বিত ক্ষুদ্র কোষস্থ কারসিনোমা। ক্ষুদ্র নয় এমন কোষস্থ ফুসফুসের ক্যান্সার আবার তিন ধরনের হয়ে থাকে – অ্যাডিনো কারসিনোমা, স্কোয়ামাস কোষস্থ কারসিনোমা ও বৃহৎ কোষস্থ কারসিনোমা। 

পরিসংখ্যান
বয়স্ক ব্যক্তিদের মধ্যে ফুসফুসের ক্যান্সারের সংক্রমণ অধিক হয়ে থাকে এবং আক্রান্তদের গড় বয়স ৭৫ বছর। ৪০ বছরের নীচে ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে এই ক্যান্সারের সংক্রমণ খুবই বিরল। 

ঝুঁকির কারণ এবং লক্ষণসমূহ

  • ধূমপান
  • পূর্বে রেডিয়েশন থেরাপি নিয়ে থাকলে
  • পরোক্ষভাবে ধূমপানের ধোঁয়া নাকে প্রবেশ করলে
  • কতিপয় রাসায়নিক যেমন অ্যাসবেসটসের সংস্পর্শে আসলে
  • র‍্যাডন গ্যাসের সংস্পর্শ
  • অতীতে পরিবারের কারো এই ক্যান্সার হয়ে থাকলে 

লক্ষণসমূহের মধ্যে রয়েছে দীর্ঘদিন যাবত কাশি, কফ বা থুতুর সাথে রক্তের উপস্থিতি, বুকে ব্যথা, শ্বাসকষ্ট, অজ্ঞাত কারণবশত ওজন হ্রাস পাওয়া, কন্ঠ কর্কশ হয়ে যাওয়া, মাথাব্যথা, হাড়ে ব্যথা। 

প্রতিকার
প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ ধূমপান পরিহার করা, স্বাস্থসম্মত আহার, র‍্যাডনের সংস্পর্শে না যাওয়া, শারীরিক কসরত-এই বিষয়গুলো মেনে চললে ফুসফুসের ক্যান্সার প্রতিকারে আপনার সহায়তা হবে। 

চিকিৎসা
রোগীর অবস্থার উপর নির্ভর করে যেসকল চিকিৎসা প্রদান করা হয়ে থাকে সেগুলো হচ্ছে-সার্জারি (ওয়েজ রিসেকশন, সেগমেন্টাল রিসেকশন, লবেক্টমি, নিউমোনেক্টমি), স্টেরিওট্যাকটিক বডি রেডিওথেরাপি, রেডিয়েশন থেরাপি (এক্স-রে, প্রোটোন), ইমিউনোথেরাপি, টার্গেটেড ড্রাগ থেরাপি, কেমোথেরাপি, সহায়ক সেবা প্রদান। 


Fighting Cancer Desk
ফাইটিং ক্যান্সার ডেস্ক