হাড়ের ক্যান্সার

প্রাথমিক হাড়ের ক্যান্সার হাড়েই শুরু হয়ে থাকে এবং এটা খুবই বিরল। এটি দেহের যেকোন অংশের হাড়ে হতে পারে। বেশীরভাগ ক্ষেত্রে ইহা হাত ও পায়ের লম্বা হাড়, শ্রোণীচক্র, পাঁজর ও মেরুদন্ডে হয়ে থাকে। যেকোষগুলো  শক্ত হাড়ের টিস্যু গঠন করে থাকে সেকোষগুলোতে হাড়ের ক্যান্সার হয়ে থাকে। বিনাইন টিউমার কেবলমাত্র আকারে বড় হতে থাকে কিন্তু তা শরীরের অন্যান্য অংশে ছড়িয়ে পড়ে না, এটা আকারে এতোটা বড় হয়ে যায় যে তা চারপাশের টিস্যুর উপর চাপ সৃষ্টি করে, হাড়কে দূর্বল করে দেয় এবং হাড় ভেঙে যায়।

হাড়ের ক্যান্সার অনেক ধরনের হয়ে থাকে। বেশিরভাগ প্রাথমিক হাড়ের ক্যান্সারকে সারকোমা বলা হয়ে থাকে, কারণ এইগুলো নরম টিস্যু যেমন পেশী ও স্নায়ু এমনকি হাড়েও বিস্তার লাভ করে থাকে। বিভিন্ন ধরনের হাড়ের ক্যান্সারের মধ্যে রয়েছে অস্টিওসারকোমা, কন্ড্রোসারকোমা, ইউইং সারকোমা এবং বিরল হাড়ের ক্যান্সার।

পরিসংখ্যান
যে ধরনের ক্যান্সারগুলো সাধারণত হয়ে থাকে তার মধ্যে ০.২% এর কম হয়ে থাকে প্রাইমারী বোন সারকোমা। এই বছরে বিভিন্ন বয়সের প্রায় ৩,৬১০ জন (পুরুষ ও বালক ২,১০০ জন এবং নারী ও বালিকা ১,৫১০ জন) হাড়ের ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়েছে এবং ধারনা করা হচ্ছে এই মোট আক্রান্তের মধ্যে ২,০৬০ জন (পুরুষ ও বালক ১,১৯০ জন এবং নারী ও বালিকা ৮৭০ জন) মারা যাবে চলতি বছরে। 

ঝুঁকির কারণ এবং লক্ষণসমূহ

  • জেনেটিক্স
  • শিশু যাদের রেটিনোব্লাস্টোমা রয়েছে
  • পরিবারে পূর্বে কারো সারকোমা হয়ে থাকলে
  • লি-ফ্রমেনি সিনড্রোম
  • পূর্বে রেডিয়েশন থেরাপি নিয়ে থাকলে
  • কেমোথেরাপিউটিক ঔষধ সেবন করে থাকলে
  • পূর্বে প্যাগেট’স রোগ হয়ে থাকলে
  • ক্যান্সার নয় এমন অন্যান্য হাড়ের রোগ
  • ফাইব্রাস ডিসপ্লাসিয়া 

লক্ষণসমূহের মধ্যে রয়েছে হাড়ে ব্যথা, ভেঙে যাওয়া হাড়, পিঠে ব্যথা, অস্থিভঙ্গ, মেরুদন্ডের স্নায়ুতে চাপ অনুভব করা, রক্তে ক্যালসিয়ামের মাত্রা বেড়ে যাওয়া (হাইপারক্যালসেমিয়া) এবং রক্তের কোষের মাত্রা কমে যাওয়া।

প্রতিকার
হাড়ের ক্যান্সার প্রতিরোধের কোন উপায় নেই।

চিকিৎসা
চিকিৎসা পদ্ধতির মধ্যে রয়েছে  সার্জারি (অঙ্গচ্ছেদ, অঙ্গ রক্ষা করার জন্য অস্ত্রোপচার, পুনরায় ঠিক করার জন্য অস্ত্রোপচার, ক্রায়োসার্জারি, বোন সিমেন্ট), রেডিয়েশন থেরাপি (এক্সটার্নাল বিম রেডিয়েশন থেরাপি, ইনটেনসিটি-মডিউলেটেড রেডিয়েশন থেরাপি, প্রোটন-বিম রেডিয়েশন, এক্সট্রাকরপোরিয়েল রেডিয়েশন), কেমোথেরাপি (ডক্সরুবিসিন, সিসপ্লাটিন, এটোপোসাইড (VP-16), আইফসফেমাইড, সাইক্লোফসফেমাইড, মেথোট্রিক্সেট, ভিনক্রিস্টিন) এবং টার্গেটেড থেরাপি (ইমাটিনিব, ডেনোসুমাব ও ইন্টারফেরন)। 


Fighting Cancer Desk
ফাইটিং ক্যান্সার ডেস্ক