কিডনি ক্যান্সারের শুরুটা হয় কিডনি কোষ থেকে। কিডনির ক্যান্সারের মধ্যে প্রায় ৯০% হচ্ছে রেনাল সেল কারসিনোমা (আরসিসি)। ক্যান্সার সাধারণত একটি কিডনিতে হয়ে থাকে কিন্তু মাঝে মাঝে কিছু রোগীর ক্ষেত্রে দেখা যায় যে দুটি কিডনিই একসাথে আক্রান্ত হয়ে পড়েছে। পুরুষ এবং ৬৫ বছরের অধিক বয়সীদের ক্ষেত্রে এই ক্যান্সার বেশি হয়ে থাকে। আফ্রিকান আমেরিকান ও আমেরিকান ইন্ডিয়ান/আলাস্কার অধিবাসীদের ক্ষেত্রে কিডনি ক্যান্সারের প্রকোপ বেশ দেখা যায়।রেনাল সেল কারসিনোমাতে সাধারণত শুরুর দিকে কোনো লক্ষণ প্রকাশ পায় না। একদম প্রাক প্রাথমিক পর্যায়ে এই ক্যান্সার সনাক্তকরণ এবং প্রয়োজনীয় চিকিৎসা শুরুর জন্য ঝুঁকির কারণসমূহ সম্পর্কে জানা গুরুত্বপূর্ণ। কারণসমূহের মধ্যে রয়েছে বয়স (সাধারণত ৬৫ বছরের অধিক বয়সীদের এই ক্যান্সার ধরা পড়ে), লিঙ্গ(পুরুষদের ক্ষেত্রে অধিক হয়), ধূমপান, স্থূলতা, উচ্চ রক্তচাপ, পূর্বপুরুষদের কারো হয়ে থাকলে, জিনগত বৈশিষ্ট্য, বিশেষ কিছু রাসায়নিকের সংস্পর্শে আসা, দীর্ঘদিন ধরে কিডনির অসুখ এবং জাতিগত কোনো ইতিহাস থাকলে। কিডনি ক্যান্সারের ঝুঁকি কমানোর জন্য কিছু বিষয় মেনে চলা জরুরী, যেমন ধূমপান বর্জন করা, সঠিক ওজন বজায় রাখা ও উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা। প্রস্রাবে রক্তের উপস্থিতি, দীর্ঘদিন ধরে কোমরের পিছনে বা পাশে ব্যথা, কোনো কারণ ছাড়াই ওজন কমে যাওয়া, ফ্লু বা ঠান্ডাজনিত কারণ ছাড়াই জ্বর বা দীর্ঘদিন ধরে অবসাদে ভুগতে থাকলে দেরি না করে অতিস্বত্তর একজন চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া উচিত। প্রাক প্রাথমিক পর্যায়ে সনাক্তকরণ, সঠিক চিকিৎসা ও স্বাস্থ্যসম্মত জীবনধারাই কিডনি ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে পারে। সর্বোপরি সুস্থ থাকার জন্য সবসময় সচেতন থাকতে হবে এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।