প্রকাশ : ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৭ :১২

ফুসফুসের ক্যান্সার চিকিৎসায় ২০২৪ সালে নতুন কী ঔষধ আবিষ্কৃত হয়েছে?

১৬ মে, ২০২৪ সালে, ইউএস ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (FDA) ফুসফুসের ক্যান্সারের চিকিৎসার জন্য একটি নতুন ঔষধের অনুমোদন দিয়েছে। এই ঔষধটি বর্তমানে বিদ্যমান সকল চিকিৎসা পদ্ধতিই বিফল হয়েছে যেসব রোগীদের ক্ষেত্রে তাদের জন্য নতুন একটি আশার প্রতীক।

জটিল ফুসফুসের ক্যান্সারের চিকিৎসার জন্য টারলাটাম্যাব (ইমডেল্ট্রা) হলো একটি নতুন অনুমোদিত ঔষধ। এটি ইনজেকশন আকারে পাওয়া যাচ্ছে।
অ্যামগেন, একটি আমেরিকান বহুজাতিক বায়োফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানী, এই যুগান্তকারী ঔষধটি আবিষ্কার করেছে।
ঔষধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান অ্যামগেনের গবেষণা ও উন্নয়ন বিভাগের নির্বাহী ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. জে ব্র্যাডনার অত্র প্রতিষ্ঠানের এক প্রেস রিলিজে বলেন, “যেসকল রোগী স্মল সেল ফুসফুসের ক্যান্সারের চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছেন তাদের জন্য ইমডেল্ট্রার এফডিএ-এর এই অনুমোদন বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। যেসকল রোগীদের ক্ষেত্রে নতুন একটি আশাবাদী চিকিৎসা পদ্ধতির প্রয়োজন তাদের জন্য ইমডেল্ট্রা একটি নতুন আশার নাম এবং আমরা তাদেরকে এই দীর্ঘ প্রতীক্ষিত কার্যকর চিকিৎসা উপায় প্রদান করতে পেরে গর্বিত। "

এই ঔষধটি কবে থেকে বাজারে পাওয়া যাবে সে বিষয়ে কর্তৃপক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত কিছু জানানো হয়নি.
ফুসফুসের ক্যান্সার মূলত দুই ধরনের হয়: নন স্মল-সেল ফুসফুসের ক্যান্সার এবং স্মল-সেল ফুসফুসের ক্যান্সার। চূড়ান্ত পর্যায়ের স্মল সেল ফুসফুসের ক্যান্সার চিকিৎসার জন্য এই ঔষধটি তৈরি করা হয়েছে।

সাধারণত, যখন স্মল সেল ফুসফুসের ক্যান্সারে আক্রান্ত কোনো রোগীর ক্যান্সার নির্ণয় করা হয়, তখন ক্যান্সারটি ইতিমধ্যে ফুসফুসের বাইরেও ছড়িয়ে পড়ে এবং এই পর্যায়ে বিদ্যমান চিকিত্সা পদ্ধতির মাধ্যমে নিরাময় করা সম্ভবপর হয়ে উঠে না।
এই ঔষধের ক্লিনিকাল ট্রায়াল থেকে দেখা যায় যে, ৪০% রোগী টারলাটাম্যাব ঔষধ সেবনের ফলে তাদের শরীরে ইতিবাচক সাড়া দেখা গিয়েছিল এবং আয়ুষ্কাল গড়ে প্রায় ১৪ মাস বেড়েছে যা অন্যান্য চিকিৎসার তুলনায় তিনগুণ বেশি। এটি চূড়ান্ত পর্যায়ের ক্যান্সার রোগীদের জন্য একটি নতুন আশা।

কিন্তু এফডিএ টারলাটাম্যাবের কার্যকারিতার পাশাপাশি এটাও উল্লেখ করেছে যে এই ঔষধের একটি প্রধান পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া রয়েছে, আর তা হলো সাইটোকাইন রিলিজ সিনড্রোম। এটি অনেকটা এমন যে আপনার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা শরীরে কোনো সংক্রমণ বা নির্দিষ্ট ওষুধ গ্রহণের সময় যতটা প্রতিক্রিয়া হওয়া উচিত তার চেয়েও বেশি আক্রমণাত্মকভাবে প্রতিক্রিয়া জানাবে। এর ফলে বমি বমি ভাব, বমি, জ্বর, ফুসকুড়ি, শরীরে ব্যথা, দ্রুত হৃদস্পন্দন এবং নিম্ন রক্তচাপের মতো কিছু উপসর্গ দেখা দেয়, যার দ্রুত চিকিৎসা হওয়া প্রয়োজন হয়।


Fighting Cancer Desk
ফাইটিং ক্যান্সার ডেস্ক