অগাস্টা বিশ্ববিদ্যালয়ের জর্জিয়ার মেডিকেল কলেজের একদল গবেষক প্রোস্টেট ক্যান্সারে আক্রান্ত বেশিরভাগ রোগী কেন আলঝেইমার রোগে আক্রান্ত হয় তা খুঁজে বের করার চেষ্টা করছেন।
প্রতি আটজন পুরুষের মধ্যে একজনের জীবদ্দশায় প্রোস্টেট ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থাকে।
আলঝেইমারের জন্য স্ট্যান্ডার্ড হরমোন থেরাপি চিকিৎসা বা অতিরিক্ত সক্রিয় ইমিউন রেসপন্স দায়ী কিনা তা বোঝার জন্য তাঁরা একটি গবেষণা পরিচালনা করছেন।
কিন ওয়াং, এমডি/পিএইচডি, জর্জিয়া রিসার্চ অ্যালায়েন্স নিউরোডিজেনারেশন-এর বিশিষ্ট স্কলার এবং এমসিজি-র প্রোগ্রাম ফর আলঝেইমারস থেরাপিউটিক ডিসকভারির উদ্বোধনী পরিচালক বলেন, "আমরা জানি যে প্রোস্টেট ক্যান্সার ৬৫ বছরের বেশি বয়সী পুরুষদের প্রভাবিত করে, কিন্তু ইতিমধ্যে তাদের বয়সের কারণে এই জনগোষ্ঠী আলঝেইমারের উচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছে। যা মূলত বোঝা যায় না তা হল ক্যান্সার এবং আলঝেইমার রোগের ক্ষেত্রে অ্যান্ড্রোজেন ডেপ্রিভেশন থেরাপি (এডিটি) কী ধরনের ভূমিকা পালন করতে পারে। "
এন্ড্রোজেন ডেপ্রিভেশন থেরাপি (এডিটি) প্রোস্টেট ক্যান্সারের চিকিৎসার জন্য ব্যবহৃত হয়। এন্ড্রোজেন ডেপ্রিভেশন থেরাপি টেস্টোস্টেরনের পরিমাণ হ্রাস করে, যা ক্যান্সারের বৃদ্ধিকে ব্যাহত করে। তবে, টেস্টোস্টেরনের অনুপস্থিতিতে অ্যামাইলয়েড জমা হয়। এই অ্যামাইলয়েড প্লেক তৈরি করে এবং আলঝেইমার রোগকে ট্রিগার করে। গবেষকরা শরীরের অতিরিক্ত সক্রিয় ইমিউন রেসপন্সকেও দায়ী বলে মনে করেন।
তারা পরীক্ষার জন্য দুটি প্রাণী মডেল তৈরি করেছিলেন, একটি আলঝাইমার রোগ এবং ক্যান্সার রয়েছে এমন প্রানীদের নিয়ে এবং অন্যটি আলঝাইমার রোগ এবং ক্যান্সার নেই এমন প্রানীদের নিয়ে। তারা এই দুই গ্রুপেই এডিটি থেরাপি দিয়েছিলেন এবং আট সপ্তাহ ধরে পর্যবেক্ষণ করেছিলেন।
তারা অ্যান্ড্রোজেনের মাত্রা, রক্তের পরিবর্তন এবং কগনিটিভ স্বল্পতা পর্যবেক্ষণ করেছিলেন। আট সপ্তাহ পর দেখা যায়, মস্তিষ্কে অ্যামাইলয়েডের পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে যা নিউরোডিজেনারেটিভ প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করে।
এটি একটি প্রাথমিক পরীক্ষা, গবেষকরা আরও অনুসন্ধানের জন্য গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন।