স্পেসের বিশেষ অবস্থা ব্যবহার করে ক্যান্সারের রহস্য উদ্ভাবনের জন্য কাজ করছে নাসা। স্পেস কীভাবে ক্যান্সার কোষের ওপর প্রভাব ফেলে এবং এর মাধ্যমে অভিনব ক্যান্সার চিকিৎসা আবিষ্কার করা যায় সেটি দেখাই তাদের লক্ষ্য। বিশ্বজুড়ে মানুষের মৃত্যুর অন্যতম কারণ ক্যান্সার। প্রতি বছর আমাদের নিজেদের পরিবারের বা আশপাশের কিছু না কিছু মানুষ ক্যান্সারে আক্রান্ত হয় এবং আমরা তাদের হারিয়ে ফেলি। ২০২৪ সালের ২১ মার্চ, ওয়াশিংটনে নাসার হেডকোয়ার্টারে এক অনুষ্ঠান চলাকালে নাসার পরিচালক ও আমেরিকার হেলথ অ্যান্ড হিউম্যান সার্ভিস ডিপার্টমেন্টের সচিব জেভিয়ার বেসেরা প্রেসিডেন্ট বাইডেন ও ফার্স্ট লেডি জিল বাইডেনের ক্যান্সার মুনশট প্রকল্পের জন্য স্পেস ও পৃথিবী বিষয়ে তাদের এজেন্সির অগ্রগতি তুলে ধরেন। নেলসন বলেন, “আমরা শুধু নক্ষত্র খুঁজতে মহাকাশে যাই না, পৃথিবীর জীবনমান কীভাবে উন্নত করা যায় সেই চেষ্টাও করি। সেখানকার মাইক্রোগ্রাভিটিযুক্ত পরিবেশে নাসা ক্যান্সারের ক্রমবিকাশ এবং এর চিকিৎসা নিয়ে গবেষণা করছে। পৃথিবীর তুলনায় স্পেসে এই কাজ খুব দ্রুততার সাথে করা সম্ভবপর হচ্ছে।” এই প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে ওজনহীন পরিবেশে ক্যান্সার কোষ হিসেবে কাজ করে সেটা পর্যবেক্ষণ করে ক্যান্সার লড়াইয়ে নতুন চিকিৎসা পদ্ধতি আবিষ্কার করা।গবেষকরা মনে করেন যে মাধ্যাকর্ষণ মুক্ত পরিবেশে ক্যান্সার কোষ নিয়ে গবেষণার এই কাজটি অধিক কার্যকরী চিকিৎসা পদ্ধতি আবিষ্কারে সাহায্য করবে। ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশনে নাসা ক্যান্সার কোষ পাঠাচ্ছে যাতে করে এই কোষগুলোর ক্রমবিকাশ ও বিভিন্ন ঔষধের প্রতি কেমন প্রতিক্রিয়া দেখায় তা নিরূপণ করা যায়। এই গবেষণা সফল হলে ক্যান্সার লড়াইয়ে নতুন পথ উন্মুক্ত হবে।