প্রকাশ : ০৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৪, ২১ :০৭

দেশে ফুসফুসের ক্যান্সারের রোগীর ব্যাপক সংখ্যা বৃদ্ধি

ফুসফুস ক্যান্সার অন্যতম সাধারণ এবং বিপজ্জনক বিভিন্ন ক্যান্সারের মধ্যে একটি। মৃত্যুহারের ক্ষেত্রেও এটি বিশ্বব্যাপী শীর্ষ ক্যান্সার গুলোর একটি । ফুসফুসের ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে কেবল ১৫ শতাংশ ব্যক্তি পাঁচ বছরের জন্য বেঁচে আছেন। গবেষণায় দেখা গেছে, ৮৫%-৯০% ফুসফুসে ক্যানসারের জন্য দায়ী হলো ধূমপান। । পাশাপাশি পরোক্ষ ধূমপানের কারনেও ফুসফুসের ক্যান্সারে  আক্রান্ত হওয়ার মারাত্মক সম্ভাবনা থাকে । তামাকের ধোঁয়াতে কারসিনোজেন পদার্থ থাকে যা ক্যান্সারের জন্য দায়ী, এই পদার্থগুলো ফুসফুস কোষকে ক্ষতিগ্রস্ত করার ফলে ক্যান্সার হয়। একজন ব্যক্তি  কতদিন ধরে ধূমপান করছেন এবং দিনে ক'টা সিগারেট খাচ্ছেন তার ওপর ফুসফুসের ক্যান্সার হওয়া নির্ভর করে। আমাদের দেশে বিভিন্ন স্থানে পানিতে আর্সেনিক রয়েছে, এটিও ক্যানসারের একটি অন্যতম কারণ। রেডিওঅ্যাকটিভ ধুলো-ময়লা, অ্যাসবেস্টাস, র‍্যাডন বা এক্স-রের মতন রেডিয়েশন সহ অন্যান্য ক্ষতিকারক পদার্থের সংস্পর্শেও ক্যান্সার হয়। অধূমপায়ীদেরও ফুসফুসের ক্যান্সার হতে পারে। যারা  বিকিরণের সংস্পর্শে কাজ করেন তাদের ফুসফুসের ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।

সাম্প্রতিক গবেষণা অনুযায়ী গত তিন বছরে ফুসফুসের ক্যান্সারে আক্রান্তের সংখ্যা ২০০ ভাগ বেড়েছে বলে রিপোর্ট এ প্রকাশিত হয়েছে। উক্ত তিন বছরে ফুসফুসের ক্যান্সারে আক্রান্ত মোট ৫ হাজার ৮৮৭ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। প্রতিবেদনে দেখা গেছে, ২০১৪ সালে এই সংখ্যা ছিল ১৯৮৩ । পুরুষদের ফুসফুসের ক্যান্সারে আক্রান্তের হারই ছিল বেশি। তবে, ২০১৪ সালের ক্যান্সার রেজিস্ট্রি প্রতিবেদনের তথ্য থেকে জানা যায় যে, নারী ও পুরুষ উভয়ের ক্ষেত্রেই ফুসফুসের ক্যান্সারই প্রধান সমস্যা ছিল। ধূমপায়ীদের সংখ্যা ও বায়ুদূষণের মাত্রা বেড়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বাংলাদেশে ফুসফুসের ক্যান্সারের ঘটনা বাড়ছে। তাই ফুসফুসের ক্যান্সারের লক্ষণগুলি সম্পর্কে জানানো এবং এই রোগ সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধিতে কাজ করতে হবে।


Fighting Cancer Desk
ফাইটিং ক্যান্সার ডেস্ক