জানুয়ারি মাসটিকে জরায়ু ক্যান্সার বা সার্ভিকাল ক্যান্সার সচেতনতা মাস হিসেবে পালন করা হয়। জানুয়ারী মাস জুড়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) এবং তাদের অংশীদাররা জরায়ুর ক্যান্সার এবং হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস (এইচপিভি) টিকা সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে কাজ করে।
জরায়ুর ক্যান্সার হল এক ধরনের ক্যান্সার যা যোনি ও জরায়ুর সংযোগস্থলে কোষে ঘটে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মতে, জরায়ু মুখের ক্যান্সার বিশ্বব্যাপী মহিলাদের মধ্যে চতুর্থ সর্বাধিক সাধারণ ক্যান্সার, ২০২০ সালে আনুমানিক ৬,০৪,০০০ নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে এবং ৩,৪২,০০০ জন মারা গেছে। ২০২০ সালে বিশ্বব্যাপী প্রায় ৯০% নতুন রোগী শনাক্ত এবং মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে।
যদিও প্যাপ স্ক্রিনিং নামক একটি ক্যান্সার শনাক্তকরণ প্রক্রিয়ার কল্যাণে গত কয়েক দশক ধরে ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা হ্রাস পাচ্ছে, তবুও জরায়ুমুখের ক্যান্সার এখনও বিশ্বব্যাপী মহিলাদের জন্য সবচেয়ে প্রাণঘাতী ক্যান্সারগুলোর মধ্যে দ্বিতীয় অবস্থানে আছে।
হিউম্যান প্যাপিলোমাভাইরাস (এইচপিভি) সংক্রমণ সার্ভিকাল ক্যান্সারের জন্য সবচেয়ে বড় ঝুঁকির কারণ এবং এটি এইচপিভি ভ্যাকসিন গ্রহন করার মাধ্যমে এড়ানো যায়। অন্যান্য ঝুঁকির কারণগুলির মধ্যে রয়েছে ধূমপান, এইচআইভি সংক্রমণ, তিন বা ততোধিক সন্তান জন্ম দেয়া, দীর্ঘ সময় ধরে (পাঁচ বছর বা তার বেশি) জন্ম নিয়ন্ত্রণ ব্যবহার করা বা একাধিক ব্যক্তির সাথে যৌন সম্পর্কে জড়িত হওয়া।
প্রাথমিকভাবে দ্রুত শনাক্ত করা গেলে এবং সঠিক চিকিৎসা প্রদান করা হলে জরায়ুমুখের ক্যান্সার সফলভাবে নিরাময় করা সম্ভব। দেরিতে শনাক্ত হওয়া রোগীর ক্যান্সারও যথাযথ চিকিৎসা এবং উপশমকারী যত্নের মাধ্যমেও নিয়ন্ত্রণ করা যেতে পারে। প্রতিরোধ, স্ক্রীনিং, সচেতনতা সৃষ্টি এবং উন্নত চিকিৎসার মাধ্যমে ভবিষ্যতে সার্ভিকাল বা জরায়ু ক্যান্সারের ক্ষয়ক্ষতি অনেকখানি কমিয়ে আনা সম্ভব।