ব্রেইন টিউমারের লক্ষণ থেকে চিকিৎসা পর্যন্ত জার্নিটা বেশ জটিল ও চ্যালেঞ্জিং এবং এর থেকে রোগমুক্তির চিত্রটা ব্যক্তি ভেদে ভিন্ন হয়ে থাকে। চিকিৎসার সফলতা ও রোগমুক্তি নির্ভর করে টিউমারের ধরন, ব্রেইনে এর অবস্থান, আকার, কোন স্টেজে রয়েছে এবং সর্বোপরি রোগীর শারীরিক অবস্থার উপর।
ব্রেইন টিউমার প্রধাণত দুই ধরনের হয়ে থাকে: বিনাইন টিউমার, যা ধীরে ধীরে বড় হয় এবং এই টিউমারগুলো ক্যান্সার জাতীয় নয়। আরেক ধরনের টিউমার হচ্ছে ম্যালিগন্যান্ট টিউমার যা ক্যান্সার জাতীয় এবং খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে।
ব্রেইন টিউমারের চিকিৎসার মধ্যে রয়েছে সার্জারির মাধ্যমে টিউমার অপসারণ, রেডিয়েশন থেরাপির মাধ্যমে ক্যান্সার কোষকে টার্গেট করে ধ্বংস করা, কেমোথেরাপির মাধ্যমে ক্যান্সার কোষকে মেরে ফেলা বা কোষের বৃদ্ধির গতিকে কিছুটা মন্থর করে দেওয়া এবং টার্গেটেড থেরাপির মাধ্যমে ঔষধ প্রয়োগ করে সুনির্দিষ্টভাবে ক্যান্সার কোষের বৃদ্ধিকে প্রভাবিত করা।
বিনাইন টিউমারের ক্ষেত্রে যেসকল রোগীর টিউমার পুরোপুরি অপসারণ করা সম্ভব হয়, তাদের মধ্যে অনেকেই পুনরায় তাদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে সক্ষম হয়ে থাকেন। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে বিনাইন টিউমার ব্রেইনে চাপের সৃষ্টি করে যার ফলে নানা রকম লক্ষণ দেখা দেয় এবং সমস্যার সৃষ্টি করে।
অন্যদিকে, ম্যালিগন্যান্ট টিউমারের ক্ষেত্রে খুব একটা আশাবাদী হওয়া যায় না এবং পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উঠাও ভীষণ রকমের চ্যালেঞ্জিং একটা ব্যাপার। এই ধরনের টিউমারের চিকিৎসার লক্ষ্য থাকে টিউমারের বৃদ্ধিকে নিয়ন্ত্রণ করা, উপসর্গগুলোকে প্রশমিত করা এবং রোগীর শারীরিক অবস্থা উন্নয়নের চেষ্টা করা যাতে করে তিনি ভালোভাবে বেঁচে থাকতে পারেন। চূড়ান্ত পর্যায়ের চিকিৎসার পরেও কিছু কিছু টিউমার আবারো বৃদ্ধি লাভ করতে পারে যা জীবনের জন্য হুমকির কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
ব্রেইন টিউমার থেকে সুস্থতার জন্য প্রয়োজন নিবিড় চিকিৎসা, নিয়মিত পর্যবেক্ষণ এবং স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারী, কেয়ার গিভার ও প্রিয়জনদের নিকট হতে প্রয়োজনীয় সাপোর্ট। ব্রেইন টিউমার চিকিৎসার সফলতা বা রোগমুক্তি রোগী ভেদে ভিন্ন ভিন্ন হয়ে থাকে, তবে চিকিৎসাবিজ্ঞানের অগ্রযাত্রা এবং সাপোর্টিভ কেয়ারের ফলে চিকিৎসার সফলতা ও রোগীর বেঁচে থাকার মানোন্নয়নের অগ্রগতি ঘটছে।