ক্যান্সার কোন একক জটিলতা নয়
বরং অনেকগুলো জটিলতার সমন্বয় যা শরীরে অস্বাভাবিক কোষ বৃদ্ধি ঘটায়। কোন ধরনের
টিস্যু বা ফ্লুইড বা শরীরের অংশ থেকে সৃষ্টি হচ্ছে এই অস্বাভাবিক কোষগুলো তাঁর উপর
ভিত্তি করে ক্যান্সারের শ্রেণীবিভাগ করা হয়।
ক্যান্সারকে সাধারণত পাঁচ
ভাগে ভাগ করা হয়:
- কারসিনোমা:
আমরা এই ক্যান্সারকে “দুষ্ট ক্যান্সার” বলে সম্বোধন করতে পারি। মোট ক্যান্সারের প্রায় ৮০-৯০% ই এই ধরনের ক্যান্সার হয়ে থাকে। শরীরের বিভিন্ন ধরনের অঙ্গ ও গ্রন্থিগুলোতে কারসিনোমা হয় এবং এগুলো দুই ধরনের: অ্যাডিনোকারসিনোমা ও স্কোয়ামাস সেল কারসিনোমা।
- সারকোমা:
এদেরকে
বলা যেতে পারে টিস্যু আক্রমণকারী। সারকোমা কানেকটিভ ও সাপোর্টিভ টিস্যুকে আক্রান্ত
করে। এটি পেশী, হাড়,কার্টিলেজ ও চর্বি থেকেও উদ্ভুত
হতে পারে। অস্টিওসারকোমা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে তরুণদের হয়ে থাকে এবং সারকোমার
অন্যান্য যে ধরণগুলো রয়েছে সেগুলো তাদের বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী নামকরণ করা হয়েছে।
- মায়েলোমা:
মায়েলোমাকে বলা যায় অস্থিমজ্জা আক্রমণকারী।
মায়েলোমা এক ধরনের ক্যান্সার যা অস্থিমজ্জাকে আক্রান্ত করে যেখানে শরীরের ইউমিউন
সেল তৈরি হয়। ক্যান্সার কোষ ইমিউন সেলগুলোকে পরাস্ত করে সেগুলোকে ম্যালিগনেন্ট
কোষে রূপান্তর করে যা শরীরে মারাত্মক স্বাস্থ্য সমস্যা তৈরি করে।
- লিউকেমিয়া:
লিউকেমিয়া অস্থিমজ্জাকেই একটা যুদ্ধক্ষেত্র
বানিয়ে ফেলে। লিউকেমিয়া অস্থিমজ্জাতে রক্তের কোষগুলোকে ধ্বংস করে ফেলে যার ফলে
শ্বেত রক্তকণিকার উপর মারাত্মকভাবে প্রভাব পড়ে এবং শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে
যায় ফলে সহজেই নানা রকম ইনফেকশন দেখা দিতে পারে।
- লিম্ফোমা
লিম্ফোমাকে বলা যেতে পারে শরীরের ইমিউন সিস্টেমে
অনুপ্রবেশকারী। লিম্ফোমা শরীরের ইমিউন সিস্টেমকে আক্রমণ করে এবং লিম্ফনোড ও শরীরের
অন্যান্য অংশে লুকিয়ে থাকে। লিম্ফোমা মূলত দুই ধরনের হয়ে থাকে: হজকিং ও নন-হজকিং।