যুক্তরাজ্যে বিশ্বের প্রথম এমআরএনএ ফুসফুসের ক্যান্সার ভ্যাকসিনের ক্লিনিকাল ট্রায়াল শুরু হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা এটিকে ফুসফুসের ক্যান্সারের চিকিৎসায় একটি যুগান্তকারী অগ্রগতি হিসেবে বিবেচনা করছেন।
যুক্তরাজ্যের একজন ৬৭ বছর বয়সী ব্যক্তি এই ভ্যাকসিনটি সর্বপ্রথম গ্রহণ করেছেন।
যুক্তরাজ্য, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি, হাঙ্গেরি, পোল্যান্ড, স্পেন এবং তুরস্ক-এই সাতটি দেশের ৩৪ টি গবেষণা কেন্দ্রে প্রাথমিক পর্যায়ের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শুরু হয়েছে।
এছাড়াও, যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডন হসপিটালস এনএইচএস ফাউন্ডেশন ট্রাস্ট প্রি-সার্জারি বা রেডিওথেরাপি, শেষ পর্যায়ের ক্যান্সারে আক্রান্ত বা পুনরায় ক্যান্সার ফিরে এসেছে এমন ১৩০ জন রোগীর উপর একটি ট্রায়াল পরিচালনা করবে।
বায়োএনটেক নামে একটি জার্মান বায়োটেকনোলজি কোম্পানী বিএনটি ১১৬ নামে এই ভ্যাকসিনটির প্রস্তুতকারক যা নন-স্মল সেল ফুসফুসের ক্যান্সারের চিকিৎসার জন্য তৈরি করা হয়েছে। নন-স্মল সেল ফুসফুসের ক্যান্সার এই ক্যান্সারের সবচেয়ে প্রচলিত রূপ।
এই ভ্যাকসিনটি এমনভাবে ডিজাইন করা হয়েছে যাতে এটি স্বাস্থ্যকর কোষগুলোকে অক্ষত রেখে শুধুমাত্র ক্যান্সার আক্রান্ত কোষগুলোকে ধ্বংস করতে পারে এবং পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াও যেন অপেক্ষাকৃত কম হয়।
ফুসফুসের ক্যান্সার বিশ্বব্যাপী সবচেয়ে মারাত্মক ক্যান্সার এবং অন্যান্য ক্যান্সারের তুলনায় মানুষ এই ক্যান্সারে বেশি মারা যায়।
ফুসফুসের ক্যান্সার বয়স্ক ব্যক্তিদের মধ্যে বেশি দেখা যায় এবং আক্রান্ত ব্যক্তিদের গড় বয়স ৭৫ বছর। ৪০ বছরের কম বয়সীদের মধ্যে এটি খুব বিরল।
ফুসফুসের ক্যান্সারের প্রধান কারণ হল ধূমপান। আপনার স্বাস্থ্য রক্ষার জন্য ধূমপান ত্যাগ করুন এবং পরোক্ষ ধূমপান থেকে বিরত থাকুন। প্রত্যক্ষ ধূমপায়ীদের ফুসফুসের ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি ২৩ গুণ বেশি, অন্যদিকে পরোক্ষ ধূমপায়ীদের ঝুঁকি ১৩ গুণ বেশি।
এই ক্যান্সারের বিরুদ্ধে আমাদের সচেতন হওয়ার এখনই উপযুক্ত সময়। সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি এবং ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র পদক্ষেপ নেওয়ার মাধ্যমে ফুসফুসের ক্যান্সারের হার কমানো যেতে পারে।